নীলক্ষেত থেকে একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরছিলাম। স্বভাব বশত নীলক্ষেতের কর্নারে ফুটপাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে বইটি মূলত হোনে গোসিনি (১৯২৬-১৯৭৭) ও জ্য জ্যাক স্যম্পে (১৯৩২-২০২২) নামক দুজন মেধাবী ও রসিক মানুষের সমন্বয়ে তৈরি। হোনে গোসিনি গল্পগুলো লিখেন এবং জ্য জ্যাক স্যম্পে গল্পগুলোতে কাব্যিক চিত্র সংযোজন করেন। ১৯৫৯ সালের ১৯ মার্চ...
আরো পড়ুন
নীলক্ষেত থেকে একবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে ফিরছিলাম। স্বভাব বশত নীলক্ষেতের কর্নারে ফুটপাতের বইগুলোর দিকে তাকিয়ে বইটি মূলত হোনে গোসিনি (১৯২৬-১৯৭৭) ও জ্য জ্যাক স্যম্পে (১৯৩২-২০২২) নামক দুজন মেধাবী ও রসিক মানুষের সমন্বয়ে তৈরি। হোনে গোসিনি গল্পগুলো লিখেন এবং জ্য জ্যাক স্যম্পে গল্পগুলোতে কাব্যিক চিত্র সংযোজন করেন। ১৯৫৯ সালের ১৯ মার্চ ফ্রান্সের দক্ষিণ-পশ্চিম রবিবার পত্রিকার ইস্টার সংকলনে প্রথমবারের মতো ছোট্টমণি নিকোলার একটি গল্প ছাপা হয় যেটি সবার মাঝে বড় ধরনের সাড়া ফেলতে সক্ষম হয়েছিল।
ছোটদের বই হিসেবে অনুবাদ করা অনুবাদক হিসেবে আমার জন্য বড় এক চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ একই বাক্যে তাদের উপযোগী এক বা একাধিক শব্দ বাছাই করতে হয়েছে, আবার মূল লেখার সাথে বাক্য বিন্যাস মিল রাখার চেষ্টা করতে হয়েছে। কারণ যারা ফরাসি শিখে তারাও যেন সমভবে উপকৃত হতে পারে। আসলে এটি ফরসি ভাষা শেখানো হয় এরকম বেশ কয়েকটি ভাষা ইনস্টিটিউট বা সেন্টারে সহায়ক বই হিসেবে ব্যবহৃত হবে। আর যারা সাহিত্য পছন্দ করেন, তাদের কাছেও এটি সুখপাঠ্য হিসেবে সমাদৃত হবে বলে মনে করি। কারণ প্রতিটি ছোট গল্পই অনেক মজার এবং গল্প শেষে রয়েছে টুইস্ট।
এটি আমার প্রথম প্রকাশিত কোনো অনুবাদ বই। দাবি করব না যে অসাধারণ কিছু করে ফেলেছি। তবে আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ করার চেষ্টা করেছি। কপিরাইটের সব নিয়ম মেনেই বইটি অনুবাদ করা হয়েছে। এ বইয়ের ফ্রান্সের অরিজিনাল পাবলিশার 'ওগঅঠ উউওঞওঙঘঝ এবং বাংলাদেশের 'অন্বেষা প্রকাশন'-এর যৌথ সহযোগিতার ফলেই বইটির অনুবাদ বাংলায় প্রকাশিত করা সম্ভব হয়েছে। আর এ কাজ করতে আমার বেশ কয়েকজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, বন্ধু, সহকর্মী ও শুভাকাঙ্খী সবসময় উৎসাহিত ও সহায়তা করেছেন। আমার নিজের ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে অনুবাদের পর পড়তেও দিয়েছিলাম। তাদের সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।
কম দেখান