চলনা গ্রামের এক টগবগে তরুণ যুবক। নাম রবিন সরকার। তার লেখালেখির কিছু হাত ছিল। লেখার মাধ্যমে সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করত। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তারই চাচা তাকে তেমন পছন্দ করত না, তার কারণ হলো রবিন সরকার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চাচা অন্যায় কাজ করতে পারে না। চাচা হলো গ্রামেরই মাতাব্বর, গ্রামের কোনো...
আরো পড়ুন
চলনা গ্রামের এক টগবগে তরুণ যুবক। নাম রবিন সরকার। তার লেখালেখির কিছু হাত ছিল। লেখার মাধ্যমে সে অন্যায়ের প্রতিবাদ করত। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় তারই চাচা তাকে তেমন পছন্দ করত না, তার কারণ হলো রবিন সরকার অন্যায়ের প্রতিবাদ করলে চাচা অন্যায় কাজ করতে পারে না। চাচা হলো গ্রামেরই মাতাব্বর, গ্রামের কোনো শালিস বসলে চাচাকেই ডাকতে হয়। আর চাচা ঘুস খেয়ে শালিসের রায়কে রাতকে দিন আর দিনকে করে রাত। অর্থাৎ ঘুসের টাকা যে বেশি দেয় শালিসের রায় তার দিকেই চলে যায়। এদিকে আবার চাচার একমাত্র মেয়ে সুবর্ণা। সেও বাবার এ কার্যক্রমকে ঘৃণাভরে দেখে। সুবর্ণার বান্ধবী হাসনা-হেনা প্রতিবাদী রবিন সরকারের পক্ষ নিয়ে কাজ করে। এখানে তিনজনের মধ্যে চলে মন দেওয়া-নেওয়া। এখন কে কাকে ভালোবাসে এটা জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে সম্পূর্ণ বইটি পড়তে হবে।
আবার চাচার স্বার্থের মাঝে রবিন সরকার বাধা হয়ে দাঁড়ালে তাকে তার দলবল দিয়ে মারধর করে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করে। রবিন সরকারের পরিবারের লোকজনও তাকে তেমন একটা ভালো চোখে দেখত না তার টাকা না থাকার কারণে। বাধ্য হয়েই মাতাব্বর চাচা এ সুযোগটি কাজে লাগায়। রবিন সরকার ছিল সদ্যবিবাহিত। তার স্ত্রীর গর্ভে ছিল সাত মাসের সন্তান। এ সাত মাসের গর্ভবর্তী মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে চলে যায় তার বাবার বাড়ি। রবিন সরকার জানে চারদিকে তার শত্রু বেড়েই চলছে। তাই নিজ আত্মরক্ষার জন্য স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি রেখে একজন দুঃখি মানুষের মতো নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। বাকিটুকু আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।
কম দেখান